পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ আজ (৯ নভেম্বর) তিন দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি শিখা অনির্বাণে পুস্পস্তবক অর্পণ করে একাত্তরের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান রাজধানীর বনানীতে নৌবাহিনী সদর দপ্তরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতে উভয়ে কুশলাদি বিনিময় করেন। তাদের মধ্যে দুই দেশের মধ্যকার পেশাগত ও প্রশিক্ষণসংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে দুজনেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রতিনিধিদল, পাকিস্তান হাইকমিশনার, ডিফেন্স অ্যাটাশে, নৌবাহিনী সদর দপ্তরের পিএসও এবং উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ ঢাকার নৌবাহিনী সদর দপ্তরে এসে পৌঁছালে নৌবাহিনী প্রধান তাকে স্বাগত জানান। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। তিনি গার্ড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন।
একই দিনে তিনি সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান বাংলাদেশ সফরকালে বিমানবাহিনী প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, কমান্ড্যান্ট ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ এবং চট্টগ্রামের নৌ প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
একই সময় পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ ‘পিএনএস সাইফ’ শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রামে আসে। জাহাজের অধিনায়কসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও নৌ সদস্যরা চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নেভাল একাডেমি, নৌবাহিনীর ঘাঁটি এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করবেন। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরাও পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ ‘পিএনএস সাইফ’ পরিদর্শন করবেন। এতে উভয় দেশের নৌ সদস্যরা পেশাগত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ লাভ করবেন।
উল্লেখ্য, সফর শেষে পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান এবং পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ ১২ নভেম্বর ২০২৫-এ বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।