বর্ষায় আবহাওয়ার সুযোগ নিয়ে বেশ কিছু ভাইরাস সক্রিয় হয়ে উঠে। যার কারণে বাড়ে জ্বরের প্রকোপ। আর একবার শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার পরই সবাই তাড়াতাড়ি প্যারাসিটামল খেয়ে নেন। তাতেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে জ্বর।
কিন্তু এমন কার্যকরী একটা ওষুধ সম্পর্কেও আমাদের মনে অনেক জিজ্ঞাসা রয়েছে। তেমনই একটি প্রশ্ন হলো, জ্বরের সময় দিনে ঠিক কতগুলি প্যারাসিটামল খাওয়া উচিত? আর সেই প্রশ্নের উত্তর জানাতেই আজকের এই প্রতিবেদন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতামতসহ জেনে নিন কীভাবে খাবেন প্যারাসিটামল। প্যারাসিটামলের কাজ ইনফেকশন হওয়ার পর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তার সঙ্গে লড়াইয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ই কারণে হঠাৎ করেই দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। আর এই সমস্যাকেই আমরা জ্বর বলে ডাকি। জ্বরের সারানোর শতভাগ কার্যকরি একটি ওষুধ হলো প্যারাসিটামল। এই ওষুধ খাওয়ার পর তা দ্রুত কাজ শুরু করে দেয়। যার ফলে কমে যায় জ্বর। তবে শুধু জ্বর কমানো নয়, এর পাশাপাশি ব্যথা-যন্ত্রণা দূর করার কাজেও এই প্যারাসিটামল অতুলনীয়। তাই সারা পৃথিবীতেই এই ওষুধের এত জনপ্রিয়তা। দিনে কয়টি প্যারাসিটামল খাওয়া যায়? চিকিৎসকদের মতে, একজন সুস্থ-সবল ব্যক্তি দিনে ৬টি প্যারাসিটামল খেতে পারেন। এক্ষেত্রে ৪ ঘণ্টা অন্তর অন্তর এই ওষুধ খাওয়া যায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ৬টি প্যারাসিটামল খাওয়ার দরকার পড়ে না। বরং দিনে ৪টি খেলেই জ্বর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাই অকারণে অত্যধিক সংখ্যায় প্যারাসিটামল খাবেন না। আর চেষ্টা করুন জ্বর এলেই প্যারাসিটামল খাওয়ার। জ্বর কমে গেলে বা জ্বর না এলে এই ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। খাবার খেয়ে খেতে হবে প্যারাসিটামল খাওয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। এক্ষেত্রে খালি পেটে এই ওষুধ খাওয়া যাবে না। তাতে সমস্যা হতে পারে। তার বদলে অল্প কিছু খাবার খাওয়ার পর প্যারাসিটামল পানি দিয়ে গিলে নিন। তাতেই ওষুধ ঠিকঠাক কাজ করবে। আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। আপনার ওজন যদি ৬০ কেজির কম হয়, তাহলে প্যারাসিটামল ৫০০ খেতে পারেন। আর ওজন ৬০ এর বেশি হলে প্যারাসিটামল ৬৫০ খাওয়া জরুরি। বেশিদিন ধরে খেলে বিপদ প্যারাসিটামল অত্যন্ত সুরক্ষিত একটি ওষুধ। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই এই ওষুধ কিনে খাওয়া যায়। কিন্তু তাই বলে আবার ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে নিত্যদিন এই ওষুধ খাবেন না। এই ভুলটা করলে বিপদে পড়তে পারে লিভার। সেই সঙ্গে আরো একাধিক সমস্যার হতে পারে। তাই ব্যথার সমস্যায় ভুক্তভোগীরা আজ থেকেই এই ওষুধ
.মেনে চলুন এসব নিয়ম জ্বর থেকে সেরে উঠতে চাইলে প্যারাসিটামল খাওয়ার পাশাপাশি মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম- প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৩ লিটার পানি পান করুনহালকা সহজপাচ্য খাবার খানশাক, সবজি ও ফল খাবেনমাছ, মাংস, ডিমও থাকুক খাবারেঅ্যালকোহল ও ধূমপান থেকে দূরে থাকুনতবে এসব নিয়ম মেনে চলার পরও যদি ৩-৪ দিনের বেশি জ্বর থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।