বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় ভারত। এই সম্পর্ককে আরো মজবুত করার ভারত ব্যাপারেও ইতিবাচক বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

তিনি এ-ও বলেছেন, অন্য কোনো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের নীতি কেমন হচ্ছে সেটি দেশটির নিজস্ব ব্যাপার।

আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসেছিলেন রণধীর জয়সওয়াল। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্কোন্নয়ন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। আমরা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সম্পর্ক স্থাপনে কাজ করছি। আমরা গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ চাই। আমরা সম্পর্ক আরো জোরদার করতে চাই। যাতে করে দুই দেশের মানুষই উপকৃত হতে পারে।’

জয়সওয়াল বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোতে যে গতিবিধি চলছে, বিশেষ করে যা ভারতে প্রভাব ফেলতে পারে, সেসব ইস্যু ভারত সব সময় নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখে। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত কোনো গতিবিধি হলে তাতেও ভারত কড়া নজর রাখে। দরকার পড়লে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

সীমান্তে বেড়া দেওয়া নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে উল্লেখ করে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘বিভিন্ন অপরাধ বন্ধ করার জন্য সীমান্তে বেড়া দেওয়া জরুরি। আমরা মনে করি সীমান্তে বেড়া দেওয়া নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এখন পর্যন্ত যতগুলো সমঝোতা হয়েছে, বাংলাদেশ এগুলো ইতিবাচকভাবে নিয়ে কার্যকর করবে। মানবপাচার, গরু পাচারসহ যেসব অপরাধ হয়, তা বন্ধ করে অপরাধমুক্ত একটা সীমান্তে রূপ দিতে হবে।’

রণধীর জয়সওয়াল আরো বলেন, ‘সীমান্তে বেড়া দেওয়া ইস্যুতে যে গতিবিধি চলছে, তা দুই দেশের মধ্যকার সমঝোতা অনুযায়ীই হচ্ছে। আমাদের কথা হচ্ছে, যে সমঝোতা হয়েছে তা দুই দেশকে মিলেই কার্যকর করতে হবে।’